শুক্রবার, ১৬ জানুয়ারী, ২০১৫

পেপার স্প্রে করা হলে...

·   0


পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ কখনো কখনো পেপার স্প্রে করে। অর্থাৎ গোলমরিচ বা এই ধরনের মসলাজাতীয় পদার্থের গুঁড়ামিশ্রিত তরল ছিটিয়ে দেয়। সম্প্রতি এ ধরনের একটি পরিস্থিতিতে সাংবাদিকেরাসহ অনেককে কাগজে আগুন দিয়ে ধোঁয়ার কুণ্ডলী তৈরি করে চোখের জ্বালাপোড়া বন্ধের চেষ্টা করতে দেখা যায়। ধোঁয়া দিয়ে টিয়ার গ্যাসের ঝাঁজ কমানো যায় বটে, কিন্তু পেপার স্প্রের বেলায় সেটা কোনো কাজে আসে না। বরং চোখের ক্ষতি হয়। হুট করে যদি পেপার স্প্রের মুখে পড়ে যান, তাহলে কী করণীয়?

নিচের পরামর্শগুলো বিবেচনা করতে পারেন:
১. প্রথমে মনে রাখতে হবে যে হাত বা রুমাল দিয়ে ঘষাঘষি করা যাবে না। এতে গায়ে-মুখে পেপার স্প্রের তরল আরও ছড়িয়ে ক্ষতি করতে পারে। চোখের ক্ষতিরও আশঙ্কা থাকে।
২. বরং ঘন ঘন চোখের পাতা ফেলুন। এতে চোখের পানিতে কিছু পেপার বেরিয়ে চোখকে স্বস্তি দেবে।
৩. চোখে-মুখে পানি দেওয়া যায়, এতে যন্ত্রণা কিছুক্ষণের জন্য হয়তো কমবে। কিন্তু মনে রাখতে হবে যে এ ধরনের স্প্রে তেলজাতীয় তরল। তেল আর পানি মিশ খায় না। কারণ, পানি বিপরীত মেরুধর্মী অণু (পোলার মলিকিউল) দিয়ে গঠিত, যা কেবল অন্য কোনো বিপরীত মেরুধর্মী অণুর গঠিত দ্রাবকে দ্রবীভূত হয়। অন্যদিকে তেলজাতীয় পদার্থ সমমেরুধর্মী অণু (ননপোলার মলিকিউল) দিয়ে গঠিত, যা কেবল সমমেরুধর্মী অণুর দ্রাবকে দ্রবীভূত হয়। তাই পানির পরিবর্তে সাবানের পানি দিয়ে চোখের চারপাশ ধোয়া যেতে পারে। এতে পেপার স্প্রে সহজে সরে যাবে।
৪. চোখের ভেতরটা ধোয়ার জন্য, জ্বালা ধরায় না এমন বেবি শ্যাম্পু ব্যবহার করুন। তবে সাবধানে চোখ ধুতে হবে, যেন চোখের মণির ক্ষতি না হয়।
৫. বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের চক্ষু বিভাগের চেয়ারম্যান ডা. শফিকুল ইসলাম বলেন, টিয়ার আইড্রপ বা চোখের পানির বিকল্প তরল ব্যবহার করলে সুফল পাওয়া যাবে। এক ফোঁটা করে দিনে তিন-চারবার ব্যবহার করা যায়।
যেখানে পেপার স্প্রের আশঙ্কা থাকে, সেখানে সাংবাদিকদের পকেটে এই বিশেষ ধরনের তরলের শিশি রাখা ভালো, যেন প্রয়োজনে চোখ-মুখ মুছে যন্ত্রণা দূর করা যায়।

সূত্র: হাউ স্টাফ ওয়ার্কস